কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করেছে বিশ্বের দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’। এটি নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দরের তীরে ভিড়তে না পারায় ব্রহ্মপুত্রের চরে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় চিলমারী বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে গঙ্গা বিলাস। পরে বিকাল ৪টার দিকে নাব্যতার কারণে নোঙ্গর করে ব্রক্ষপুত্রের চরে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় পর্যটকদের গঙ্গা বিলাস থেকে স্পিডবোটে চিলমারী নদীবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রম্নকুজ্জামান শাহিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রমোদতরির বিদেশি পর্যটকরা রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন শেষে আবারও চিলমারী ফিরে গঙ্গা বিলাসে রাত্রিযাপন করবেন। আগামীকাল শুক্রবার সকালে চিলমারী নৌবন্দর থেকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার উদ্দেশে রওনা হবে গঙ্গা বিলাস।
বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত নদী পথে মোট তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাস। তিনটি ডেকসহ এমভি গঙ্গা বিলাস দৈর্ঘ্যে ৬২ মিটার লম্বা ও প্রস্থে ১২ মিটার। এর ২৮টি বিলাসবহুল কামরায় সুইজারল্যান্ডের ২৭ জন এবং জার্মানির একজন ভ্রমণ করছেন। এই যাত্রাপথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৫১ দিন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)-এর দই খাওয়া-চিলমারী নৌরুটের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষাসহ বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, গঙ্গা বিলাস যাত্রারত পর্যটকদের ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।