বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত হারে ডলার কেনার বিষয়ে সতর্ক করেছে। এরপর থেকে ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সংকট আরও গভীর হচ্ছে। খোলা বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ১৫ টাকা বেশি, অর্থাৎ প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা খোলা বাজারে ডলারের এই রেকর্ড দাম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা জানান, উচ্চ হারে ডলারের লেনদেনের পেছনে থাকা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক রেট উপেক্ষা করে ব্যাংক ডলার কিনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর শাস্তি দেবে।’
অন্যদিকে, খোলা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। তিন দিনের বিপরীতে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে তিন টাকা। শনিবার (১১ নভেম্বর) খোলা বাজারে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়। অথচ গেল বুধবার (৮ নভেম্বর) খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকায়।
মানি এক্সচেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে, এই দামে কোনো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হয় না।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে শনিবার ক্রেতারা প্রতি ডলার ১২৮ টাকা দরে কিনেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল সিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ডলার লেনদেন হচ্ছে না। গ্রাহক আসে এবং ডলার না পেয়ে ফিরে যায়। তারা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়।’