রাজশাহীর বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই। আমরা দেশের মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করি। দুর্নীতি করে বিএনপি নেতারাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এদেশের মাটিই আমাদের ঠিকানা।’
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানো আর মানুষ হত্যা করাই হলো বিএনপির রাজনীতি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ও জনগণের ভোট চুরি করে। বিএনপির রাজনীতি হলো হত্যা, লুটপাট আর দুর্নীতি। আমার মা বাবা ও ভাইদের যারা হত্যা করেছে খালেদা জিয়া তাদের সংসদে এনে বসিয়েছেন।’
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশে আমার মা বাবা ও ভাইদেরসহ পরিবারের সব সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দেশে একটা সময় আমার মা-বাবার হত্যার বিচারও চাওয়ার অধিকার ছিল না। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পালায় না। বিএনপি নেতারাই পালিয়ে বেড়ায়। আমি ওয়ান ইলেভেনের সময় বিদেশে গিয়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আবার দেশে ফিরে এসেছি।’
তাঁর নেতৃত্বে সরকারের বর্তমান আমলে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকেও আমি রাজশাহীতে এসে ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এগুলো রাজশাহীবাসীর জন্য আমাদের সরকারের উপহার।’
জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা করোনাকালে সবাইকে বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, যা উন্নত দেশগুলোও দিতে পারেনি।’
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ অবস্থায় আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছি। দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি নিয়ে আমরা এক কোটি লোককে কার্ড দিয়েছি। আমরা জনগণকে যে ওয়াদা দেই তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। আজকের বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়েছে। আগামীতে এ দেশ আরও উন্নত হবে।’
আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আগামীর নির্বাচন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচন।’