ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মারধর, নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা : ডিজি
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 04-04-2023
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

এ সময় মো. মাইন উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করে সকলের উদ্দেশে বলেন, আমাদের কর্মীরা তো নিজের জীবন দিয়ে আপনাদের রক্ষা করেন, তাদেরই কেন আঘাত করা হলো, কারা আঘাত করল!

 

এক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত কমিটি নিরূপণ করবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটকে ২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছিল। গণমাধ্যমে তার সংবাদও প্রচারিত হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন সময়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে।

 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের আটজন আহত হয়েছেন, যারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

 

ডিজি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি এবং অধিদপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করে ইআরসিসি ভবন ও রিসিপশন ভবন ভাঙচুর করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারধর করে। বাইরে থেকেও লোকজন অধিদপ্তরের ভেতরে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অগ্নিনির্বাপণের সময়ও আমাদের অনেক কর্মী মারধরের শিকার হন। পরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

 

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করে ফায়ার নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী ও বিজিবি। ঘটনাস্থলের ওপরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা যায়।

 

বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়। এ পানি নেওয়া হয় হাতিরঝিল থেকে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট।

 

ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, বঙ্গবাজারের ৯০ শতাংশ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

 

শেয়ার করুন