প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সবাই মিলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার কথা বলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি অতিদ্রুত সংস্কার করে তাঁরা নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। বৈঠকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চাইতে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনা করেছেন। বৈঠকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবাই একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘এই ডিসেম্বরে আমরা বিজয় লাভ করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে...স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।’ তিনি বলেন, পতিত সরকার বিদেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশে যে সব দেশ সেই পতিত সরকারকে সহযোগিতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন।
ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণ যেমনভাবে জুলাই-আগস্টের ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে; তাদের, তাদের সহযোগিতাকারী ও তাদের ষড়যন্ত্রকে সেভাবে সবাই মিলে মোকাবিলা করা হবে।
মোশাররফ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আজকে রাজনৈতিক দলগুলোর যারা উপস্থিত ছিলাম, আমরা সবাই ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একমত হয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সম্পর্কেও বলেছি। এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা বলেছি, অতি দ্রুত সংস্কার সাধন করে নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ (পথনকশা) দিতে, জনগণ একটি রোডম্যাপ পেলে, নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করতে সাহস পাবে না।’
বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।