আমাদের মধ্যে অনেকেই পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না । অনেকে আবার জেনে থাকলেও এর কিছু দিক সম্পর্কে খুবই ভাসাভাসা জ্ঞান রাখি । পিসিওডি এক ধরণের হরমোনাল ব্যাধি । বর্তমান সময়ে প্রায় ১০ জন নারীর মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় আক্রান্ত । পিসিওডি’তে আক্রান্ত নারীর ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয় । বেশীরভাগ নারীই এই সমস্যায় কম-বেশী আক্রান্ত হলেও পিসিওডি’র সুনির্দিষ্ট এবং স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই । এ রোগের কারণও নির্দিষ্ট করে বলা যায় না । আসুন এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানি ।
পিসিওডি কি কি সমস্যা তৈরী করতে পারে?
অনিয়মিত প্রিয়ড
গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে উর্বরতাজনিত সমস্যা/বন্ধ্যাত্ব
ডায়াবেটিস
ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বক
ওজন বৃদ্ধি
হার্টের সমস্যা
মাইগ্রেন
মুড সুইং বা মেজাজের হঠাৎ পরিবর্তন
সনাক্ত করতে চাইলে যে পরীক্ষা করতে হবে
আল্ট্রাসনোগ্রাম
রক্ত পরীক্ষা (ইনসুলিন এবং টেস্টোস্টেরন জাতীয় হরমোনাল সমস্যা নির্ধারণের জন্য)
পিসিওডির প্রতিকারঃ খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনতে হবে
ফল এবং সবজি (টমেটো, শসা ইত্যাদি) বেশী খাওয়ার অভ্যাস করা
গম-জাত খাবার, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি খাওয়া
দুগ্ধজাত খাবার কম খাওয়া যা ইনসুলিনের হার বাড়াতে পারে
রেড মিট (গরুর মাংস ইত্যাদি) কম খেয়ে মাছ বেশী খাওয়া
স্যাচুরেটেড/হাইড্রোজেনেটেড চর্বিজাতীয় খাবার (গরুর মাংস, পনির ইত্যাদি) পরিহার করা
প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া
খাদ্যতালিকায় যা থাকতে পারে
শর্করাঃ বার্লি, ব্রান ফ্লেক্স, বাদামি চাল, মাল্টিগ্রেনের রুটি, গমের পরিজ
ডালঃ হলুদ মুগ, সবুজ মুগ, ছানা ডাল, মটরশুটি
দুগ্ধজাত পণ্যঃ স্কিমযুক্ত বা টোনড মিল্ক, দই
ফলঃ পীচ, কমলা, পেঁপে, নাশপাতি, তরমুজ, আপেল
বাদামঃ আখরোট, বাদাম
সবজিঃ গাজর, মটর, ব্রকলি, লেটুস, মাশরুম, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ, ফুলকপি, শাক
পিসিওডি’র কারণে প্রিয়ড যদি বেশীরভাগ সময় অনিয়মিত হতে থাকে, তাহলে পরবর্তীতে জরায়ুর ক্যান্সার পর্যন্ত হওয়ার আশংকা অনেক বেড়ে যায় । তাই অবশ্যই স্বাস্থসচেতন হওয়া এবং এখন থেকে খাদ্যতালিকা মেনে চলা জরুরী ।