রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে জুরাছড়ি উপজেলার নৌপথ দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যেম নৌপথ। নৌপথ ছাড়া যোগাযোগের কোন বিকল্প নেই। বছরে ৬ মাস পানি থাকেনা কাপ্তাই হ্রদে। নেই কোন জুরাছড়ি উপজেলার ব্রিক ফিল্ড, নেই হার্ডওয়ারের দোকান। কাজেই যাবতীয় পাকা কাজের নির্মাণ সামগ্রী রাঙ্গামাটি সদর হতে পরিবহন করে ঠিকাদারদের কাজ করতে হয়।
এছাড়াও পার্বত্য এলাকায় যে সব ঠিকাদার রযেছেন আর্থিক দিক দিয়ে তেমন স্বচ্ছল নন।
তাই এবছর কাপ্তাই হ্রদে অতিরিক্ত পানি কমে যাওয়ায় যেমনি মানুষের দূর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে তেমনি উপজেলার চলমান কৃত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ করার অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় ঠিকাদার জানান, বর্তমানে রাঙ্গামাটি থেকে এক বস্তা সিমেন্ট পরিবহন করতে খরচ লাগে এক হাজার টাকা তাই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চলমানকৃত কাজ সমাপ্ত করা ঠিকাদারদের পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই ঠিকাদারদের ধীর গতিতে উন্নয়ন কাজগুলো চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
জুরাছড়ি উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মুতিউর রহমান স্বীকার করে বলেন, অন্যান্য বছরের চাইতে এবছরে অতিরিক্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ার ফলে ঠিকাদারদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে কাজ করতে হচ্ছে। তাই কাপ্তাই হ্রদে পানি না থাকায় নির্মাণধীন কাজ কিছুতা ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এ বর্ষার মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লে ঠিকাদারেরা দ্রুত নির্মাধীন কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবে এমনটাই জানান।
জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমটিতেই অন্যান্য উপজেলা থেকে জুরাছড়ি উপজেলা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে, তার এক মাত্র কারণ হচ্ছে যোগাযোগের অভাব।
এত প্রতিকূলতার মধ্যেও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চলমান কৃত উন্নয়নের কাজ অধিকাংশ কাজ সম্পাদন করেছেন। অবশিষ্ট কাজ কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ সমাপ্ত করতে পারেবন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।