রাঙামাটি জেলার খাল প্রধান উপজেলাগুলোর মধ্যে লংগদু একটি। যে উপজেলায় এখনও বেশিরভাগ এলাকায় যেতে নদীপথ ব্যবহার করতে হয়। উপজেলার মাত্র কয়েকটি এলাকায় সড়কপথ ব্যবহার করে যাতায়াত করা যায়, তাও ঘুরপথে যেতে হয়। কিন্তু শুকনা মওসুমে এই ঘুরপথ ব্যবহারের কোনো বিকল্প থাকে না।
এরমধ্যে উপজেলার মাইনীমুখ-আটারকছড়া সড়কটি একটি গুরুত্বপুর্ণ ও বহল ব্যবহৃত সড়ক। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিনিয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
মাইনীমুখ-আটারকছড়া সড়কের এই বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই। প্রায় প্রতি নিয়ত ঘটছে এই রাস্তায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা। বয়স্ক, বূদ্ধ নারী ও শিশুদের চলাচলে ভীষন ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এলজিইডি দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটিতে ইট বিছিয়ে পাকা সলিং করলেও বর্তমানে রাস্তার অনেক স্থানেই ইট নেই, বিছানো ইটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ে গেছে সেগুলো। তবুও জনসাধারণ তাদের জীবন জীবিকার তাগিদে ভোগান্তিকে সংগী করেই এই রাস্তা ব্যবহার করছে।
আটারকছড়া ও মাইনীমুখ ইউনিয়নের জনসাধারনের জন্য এই রান্তাটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ কেননা এই রাস্তাটি ছাড়া এই দুই ইউনিয়নের লোকজনের চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নেই। জনসাধারনের জন্য গুরুত্বপুর্ণ হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই রাস্তার গুরুত্ব কতটুকু তা বুঝা মুশকিল।
এই রাস্তায় চলাচল করা যে কত কষ্ঠের তা চলাচলকারী ভোক্তভোগী ছাড়া কেউ জানেনা। পশ্চিম ভাইট্রাপাড়া থেকে শুরু করে আটারকছড়া ৩ ব্রীজ বটতলা পর্য়ন্ত ৮/৯ কিলৈামিটার রাস্তাটির হাজাছড়া ব্রীজ,মুসিবতের টিলা,হাজাছড়া বাজারের পুর্বপাশ, দক্ষিন সোনাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় ভালো মানের মোটর বাইক চলাঁচল করতে যে পরিমান কষ্ট হয সেই খানে অটো, মাহেন্দ্র ও অন্যান্য মোটরযান চলাচল করা তো দুরহ ব্যাপার।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করলে জানা যায় ,অনেক চেষ্ঠা করার পর এল জি ই ডি এই রাস্তাটি তাদের প্রকল্পভুক্ত করেছেন। রাস্তাটি পাকা করণের জন্য ইতিমধ্যে কিছু উদোগের কথাও শুনেছি কিন্ত এখনো বাস্তব কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। অথচ জনগুরুত্ব পূর্ণ নয় এমন অনেক রাস্তা পাকা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা যায়,মাইনীমুখ আটারকছড়া রাস্তাটির ৬ কিলোমিটার পাকা করণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে,আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে খুব সহসা কাজ শুরু করা যাবে। মাইনীমুখ-আটারকছড়া ইউনিয়নের জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে প্রচেষ্ঠা চালালে স্থানীয় জনসাধারণের যেমন উপকার হবে তেমনি তাদের জীবন মানের ও উন্নতি হবে।