রাঙামাটির নানিয়ারচরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির উপর অতর্কিত হামলা ও মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৭ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কজনকে আসামী করে নানিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার।
নানিয়ারচর থানায় (বৃহস্পতিবার) ১১ই মে মামলা নং ৩/৯ এ তাকে মারধরের ঘটনায় মো:-শাহিন আলম (৩৫),মো:- নুরজামাল (২৮),মোঃ রুবেল মৃধা (২৫),মো: মহিদুল(৩০),মো:-শহিবুল(৩২),মো:হাফিজুল (২৮),আবু জাফর খাঁ(৫০),আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতজনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে হয়েছে।
মামলার এজাহারে তিনি আরো উল্লেখ করেন,এলাকায় বিবিধ বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আসামীদের সাথে মতবিরোধ হয়ে আসছে। তাহার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ই মে রাতের প্রায় ৯ ঘটিকার সময় নূর হোসেনের চায়ের দোকানে আমামি ও আমার সাক্ষী মো:-কাইয়ুম (৩০) ও ফারুক হাওলাদার (৪৫) বসে চা খাচ্ছিলাম।
এসময় আসামীগন ও আরো অজ্ঞাত (১০-১২) জন মিলে আমাকে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে মারধর শুরু করে। এরা সকলেই উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমার অনুসারী বলে দাবি করছেন সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার।
এই বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমা জানান, অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকলেই আওয়ামীলীগের মাদার সংগঠনের অনুসারী এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর আদর্শ, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী সকলে আওয়ামীলীগের অনুসারী। আমরা সবাই জননেতা জনাব দীপঙ্কর তালুকদারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ,আমার বা ব্যক্তি বলে কোন শব্দ রাজনীতিতে নাই। এটা সম্পূর্ণ একটি সাজানো নাটক।
এবিষয়ে মামলার আসামী মো: সহিবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে জানিয়ে দেন।তিনি আর বলেন এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং তাকে মিথ্যাভাবে ফাসানো হইয়েছে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুজন হালদার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।