কৃষিজ উন্নত জাত ও চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনীতে রাঙামাটির কাপ্তাই রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বারি কুল-৪ নামে কুলের একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করে সফলতা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানিরা।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্যাম প্রসাদ চাকমার সাথে বারি কুল-৪ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, বারিকুল একটি উন্নত জাতের কুল। যেটি দেখতে ডিম্বাকৃতির, গড় ওজন ৩৬ গ্রাম, খুব মিষ্টি (টিএসএস ১৫%), সুস্বাদু এবং ভক্ষ্ণযোগ্য অংশ প্রায় ৯৬%। বীজের আকার ছোট, ডিম্বাকৃতির ও ভোতা। প্রতি গাছে গড় ফলন প্রায় ১৯০-২০০ কেজি। ফল সংগ্রহের সময় মধ্য জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর গবেষণার পর কুলের এই উন্নত জাতটি জাতীয় বীজ বোর্ড কতৃক বারি কুল-৪ নামে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্তায়িত করা হয়।
তিনি আরোও জানান, বর্তমানে রাইখালী কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটে ১২টি বারি কুল-৪ এর গাছ রয়েছে। তৎমধ্যে অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে এই গাছটির চারা সংগ্রহ করেছে। এবং অনেক কৃষক ফলটি চাষ করে সফলতা পেয়েছে। বারি কুল-৪ এর চারা কলম বা চোখ কলমের জন্য বাড অত্র কেন্দ্রের নার্সারী থেকে সংগ্রহ করা যাবে। তিনি আরো জানান, ফলটি এপ্রিল মাস পর্যন্তও সংগ্রহ করা সম্ভব। এবং ফেব্রুয়ারীর দিক থেকে শুরু করে ফলটির অধিক স্বাদ পাওয়া যায়। ফল ভিটামিন সি ও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ বলে তিনি জানান