রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের সংলগ্ন সড়কটি বেহাল দশার কারণে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কটি চার বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল।
এরইমধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২ নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের উপজেলা সদরের সড়কটি চার বছর আগে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পাকাকরণের কাজ করেছিল।
সংস্কারের দুই বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে মনে হচ্ছে এটি পাকা সড়ক নয়, কাঁচা সড়ক।
তারপরও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কিছু অংশে ইট থাকলেও একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থাপূর্ণ সড়ক পুরো উপজেলায় আর নেই। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামতের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
স্থানীয় কার্বারী ( গ্রাম্য প্রধান) মেচিং মারমা জানান, এ সড়কটি যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পথচারী আবুল হোসেন জানান, সড়কটির এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। অন্য সড়ক দিয়ে অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে বলে সময়ও লাগছে বেশি।
এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারণ তাদের দীর্ঘ ভাঙা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না।
ওই সড়কে চলাচলকারী রাজস্থলী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, সড়কটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙে গেছে। যার কারণে কলেজে যেতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী হাসিবুল হাসান জানান, অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট সংস্কার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সড়কে কাজ চলছে। কিছু কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনেক সড়কে ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, সড়কটি মেরামতের উদ্যােগ হাতে নেওয়া হয়েছে, চলতি মাসের সমন্বয় সভায় প্রস্তাবনা রাখা হবে।