আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে খাই খাই অভ্যাস নেই। কিন্তু বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে রয়েছে শুধু খাই খাই, তাই জনগণ তাদেরকেও নাই নাই। আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানের লামার রূপসীপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন বান্দরবান ৩০০নং আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপিরা এখন জনসাধারণকে নির্দেশ দিচ্ছে ভোট কেন্দ্রে না যেতে। জনগণকে ভোট দিতে, না করার ওরা কে ? আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব। বিএনপিকে জনগণ ভোট দিবেনা, এটা জেনেই তারা ভোটে আসেনি। ক্ষমতায় থাকা সময়ে তারা মসজিদের চাউনিতে একটি টিনও লাগায়নি।
তিনি বলেন, যে রূপসীপাড়া ইউনিয়নে এক সময়ে হেঁটে যেতে হয়েছে, আজ সেখানে ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়ক হয়েছে। পার্বত্য জেলার যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি, ওইসব এলাকায় ৪২ হাজার ৫০০ শত পরিবারকে সোলার দেয়া হয়েছে। হাতে হাতে মোবাইল ফোন শেখ হাসিনার অবদান। আমরা যদি আবারও নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে দেখবেন রূপসীপাড়া কি থেকে কি হয়। যোগাযোগ উন্নয়নের কারণে কৃষিতে বিপ্লব শুরু হয়েছে।
বীর বাহাদুর বলেন, যে যত জ্ঞানী হবে, সে তত তার পরিবার ও রাষ্ট্রের সেবা করতে পারবে। দুইটি থেকে আজ বান্দরবান জেলায় ১৪টি কলেজ হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহ ৫০ শয্যার হাসপাতাল। অতীতে কোন সরকার এমন উন্নয়ন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, কথাই আছেনা, যে হয় ৯ বছরে হয়, যে হয়না সে ৯০ বছরেও হয়না। আর ওরা (বিএনপি) ৯০০ বছরেরও হবেনা। সামনে সংসদ নির্বাচন, আপনারা উন্নয়ন চাইলে, সম্প্রীতি চাইলে, অধিক এলাকার কল্যাণ চাইলে, শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। বান্দরবান আমার পরিবার, আমার সংসার। সবাইকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। কেউ কাউকে অবহেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের সন্তানরা ম্মার্ট হয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে।
রূপসীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ পাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, সহ সভাপতি মুক্তিযাদ্ধা শেখ মাহাবুবুর রহমান ও মো. মোস্তফা জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাতেমা পারুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জনসভায় ইউনিয়নের প্রায় ৫ সহস্রাধিক নেতা কর্মী ও ভোটারগন অংশ গ্রহণ করেন।
পরে লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা এলাকার অনুষ্ঠিত জনসভায় অংশ গ্রহণ করেন বীর বাহাদুর উশৈসিং।