কেউ যদি দেশের ক্ষতি করছে, দেশের জনগণের ক্ষতি করছে, সেটা রোধ করতে যদি আমাদের শক্ত অবস্থানে যেতে হয়, অবশ্যই যাবো। কিন্তু সেটা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য না, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সবকিছুর সমাধান চাই। যদি সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে। অন্যথায় কঠোর হাতে দমন করা হবে। আজ রবিবার সকালে (৭ এপ্রিল) বান্দরবান সেনা জোনে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, কেউ মরণ কামড় দিলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। সেনা বাহিনী খুবই মানবিক, আমরা সারাবিশ্বে মানবিকতার জন্য বিখ্যাত। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ ১ নাম্বর শান্তিরক্ষীকারী দেশ। এটা অর্জনের পিছনে যেসব গুণাবলী আছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো মানুষের প্রতি দরদ ও সহনশীলতা। আমরা কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, এ ধরনের কোন কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো করে নাই।
এসময় বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, এই ঘটনার আগাম তথ্য থাকলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম। আমরা তাদেরকে বিশ্বাস করেছি। কেএনএফের সাথে শান্তি আলোচনা চলছিল,তারা দুই বার বসেছে শান্তিচুক্তির জন্য, তৃতীয়বার বসার কথা। তারা কি কখনও বলেছে যে, না হবে না, মানি না। আমি যতটুকু শুনেছি, সবাই এর সঙ্গে জড়িত না। তাদের কিছু কিছু শান্তি চায়। কয়েকজন আছে যারা এটা চাচ্ছে না, তাদের নির্মূল করা হবে। আলোচনা শেষ হওয়ায় আগে এই অশান্তি শুরু হয়েছে, তবে দ্রুত সময়ে অশান্তি কেটে যাবে এবং শান্তি ফিরে আসবে।
এসময় সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সাথে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সেনা প্রধান হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে বান্দরবান সেনা রিজিয়নে পৌছেন। পরে রিজিয়ন কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় করেন।