পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাের্ডের অর্থায়নে বান্দরবানের রােয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কটি দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। ইতি মধ্যে সড়কটির প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরাে সড়কের কাজ শেষ হলে জেলা সদর থেকে রুমা ও রােয়াংছড়ির দুরুত্ব কমে যাবে অনেকগুনে। এছাড়াও রােয়াংছড়ি থেকে অভ্যন্তরীণ সড়ক হওয়ায় দুই উপজেলার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিকসহ যােগাযােগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তণ ঘটবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাের্ড সূত্র জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাের্ড প্রথম ধাপে ৪৮ কােটি টাকা ব্যয়ে রােয়াংছড়ি উপজেলা থেকে রুমা উপজেলা পর্যন্ত ২০ কিলােমিটার দীর্ঘ সড়কটির নির্মান কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সড়কের কাজ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ধাপে এটি ৬৪ কােটি টাকা বর্ধিত করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাের্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকোশলী আবু বিন মােহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত জানান, ৪৮ কােটি টাকার প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত কাজটির অধীন মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ, ড্রন নির্মাণ, কালভার্ট, রাস্তা কার্পটিং করা হবে।
তিনি আরাে জানান, সড়কটি নির্মিত হল রােয়াংছড়ি থেকে রুমার দুরুত্ব কমে যাবে। অভ্যন্তরীণ যােগাযােগ ব্যবস্থা চালু হলে কষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের।
চলতি ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাের্ড।
রােয়াংছড়ি এলাকার বাসিন্দা থােয়াইনু অং মার্মা বলনে, রােয়াংছড়ি রুমা সড়কটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে অর্থনৈতিক যােগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং আশ পাশের অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে পণ্য পরিবহন সহজ হবে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে।
রুমা পাইদু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা জানান, রুমা বাসির দীর্ঘ দিনের দাবি অবশেষে পূরন হতে যাচ্ছে। রােয়াংছড়ি-রুমা সড়কটি আগে রুমা হয়র বান্দরবান সদর সড়ক পথে যেতর সময় লাগতাে দু-থেকে আড়াই ঘন্টা। রােয়াংছড়ি রুমা সড়ক চালু হলে রুমা থেকে রােয়াংছড়ি হয় বান্দরবান সদর যেতে সময় লাগবে মাত্র ১থেকে দেড় ঘন্টা।
রােয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্ব নাথ তংচঙ্গ্যা জানান, সড়কটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প। পার্বত্য উন্নয়ন বাের্ডের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আলাকিত হয়েছে দুই উপজেলা। এই এলাকার মানুষ সরাসরি রােয়াংছড়ি-রুমা চলাফরা করতে পারবে। এবং এখানকার জমির মূল্য যেমন বাড়বে তেমনি এই সড়ক হয়ে কৃষি পণ্য সহজেই পরিবহণ করা যাবে।