প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে দুই মাস ধরে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় প্রথম দফায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল ১৮ অক্টোবর। নবম দফায় নিষেধাজ্ঞা সময়সীমা আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অষ্টম দফায় নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন ছিল ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ভ্রমণে প্রথম দফায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল গতমাসের ১৮ অক্টোবর। অভিযান অব্যাহত থাকায় চলমান নিষেধাজ্ঞা নবম দফায় আরও বৃদ্ধি করে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে রুমা ও রোয়াংছড়ি ব্যতীত অন্যসব উপজেলায় পর্যটকরা নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবে।
এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় গোটা বান্দরবান জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোর দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোও।
নিষেধাজ্ঞায় রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণাসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না পর্যটকরা।
নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।