আগামী মে মাসের ২/৩ তারিখে (অর্থাৎমাত্র দুই সপ্তাহ) পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল-ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসবকে ঘিরে রাজধানী ছাড়বে কয়েক লাখ লাখ মুসলিম ও ছুটিতে থাকা অন্য ধর্মের মানুষ পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাবেন। কিন্তু এ সময় সড়কের বেহাল অবস্থা ও অতিরিক্ত যানবানের অস্বাভাবিক ভাবে চলাচলের কাররণে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। তাই ভোগান্তি কমাতে আগে-ভাগেই রাজধানী ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বুয়েটের অধ্যক্ষ ও দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মোহম্মদ হাদিউজ্জামান।
আজ ১৭ এপ্রিল (রবিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে গড়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যান। কিন্তু পরিবহনগুলোর যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১৫ লাখ। তাই রাজধানীতে বিশেষ কোন কাজ না থাকলে পরিবারের অর্ধেক সদস্যদের ২০ রোজার পরপরই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ভাল। এতে ভোগান্তি কমবে আর যাদের কাজ রয়েছে তাদের ২৭ রোজার মধ্যে ঢাকা ছাড়ার পরামর্শ দেন তিনি।
হাদিউজ্জামান বলেন, যে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারমধ্যে বাসে ৮ লাখ, ট্রেনে ১ লাখ, লঞ্চে দেড় লাখ, ব্যক্তিগত গাড়িতে চার লাখ ও বাইক রাইড করে চার লাখ লোক ঢাকা ছাড়বেন। বাকি ১৫ লাখ লোক ঝুঁকি নিয়ে কাভার্ডভ্যান, ট্রেনের ছাদেসহ বিভিন্ন উপায়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির ধারণা, আসন্ন ঈদে এক কোটি মানুষ রাজধানী ছাড়বেন। অন্যদিকে, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করবেন আরও অন্তত ৫ কোটি মানুষ।