ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তাঁর ভক্তদের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরা বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার সময় কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁর অনুসারীরা। এতে পুলিশের পাঁচ-ছয় সদস্য আহত হন। ঘটনার পর সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। তবে আজ রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিজয়নগরের চরইসলামপুরের নাজিরা বাড়িতে বিনা অনুমতিতে মাহফিল করছিলেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। ওই মাহফিলে তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তাহেরীর বিরুদ্ধে আখাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মাহফিলের মঞ্চ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি একটি বাড়িতে ঢুকে পেছনের বিল দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁর ভক্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নাজিরা বাড়ি এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের সদস্যরা তিনটি গাড়িতে ঘটনাস্থলে গেলে ভক্তরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় পুলিশের পাঁচ থেকে ছয় সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাহেরী কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। পরে সেখান থেকে তাঁর ছয় ভক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে আখাউড়ার নিলাখাদ এলাকায় তাহেরীর একটি ওয়াজ মাহফিল তাড়াতাড়ি শেষ করার কথা বলে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাহেরীর ভক্তদের হামলার ওই ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়ার মাথায় তিনটি সেলাই লাগে এবং হাতের আঙুল ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসআই বাবুল। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।