শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও অশিল্পীসুলভ আচরণে চলচ্চিত্রের কাজ থেকে নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলের ১৮ সংগঠনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চিত্রগ্রাহক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মজনু এবং শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য অভিনেতা আলমগীর, নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী নিপুণ, সাইমন সাদিকসহ চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
বুধবার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত ‘বয়কট’-র খবরটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেতারা। বিকেলে আদালতের নির্দেশনা আসার পর এফডিসিতে ফের বৈঠকে বসে ১৮ সংগঠনের নেতারা। তখনই জায়েদ খানকে ‘বয়কট’-এর কথা জানানো হয়।
এ বিষয়ে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘জায়েদ আমাদের কোনো সংগঠনকে মানেন না। যেহেতু তিনি নিজের মেজাজ-মর্জি অনুসারে চলেন তাই সংগঠনগুলোরও তাকে আর দরকার নেই। আমরা কেউই জায়েদের সঙ্গে কাজ করব না। যদি কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য জায়েদের সঙ্গে কাজ করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন সেই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দরকার পড়লে সদস্যপদও বাতিল করা হবে। ’
এদিকে সংগঠনগুলোর নেতারা ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই জায়েদ খান ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাদের দাবি, এই দু’জনে যোগসাজশে নির্বাচনের দিন অন্য সংগঠনের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি এফডিসিতে।
এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন ও জায়েদ খান ভোটকে প্রভাবিত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছেন বলেও তাদের দাবি করেন তারা। এ কারণে এর আগে পীরজাদা শহীদুল হারুনকে এফডিসিতে নিষিদ্ধ করেছিল শিল্পী সমিতি বাদে বাকি ১৭ সংগঠন।