কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাসরা গ্রামের মো. হাসান ছিলেন ট্রাকচালকের সহকারী। চট্টগ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে রাজধানীর চিটাগাং রোডে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলি এসে পায়ে লাগে। চিকিৎসায় তাঁর ডান পা কেটে ফেলতে হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেও অর্থাভাবে তিনি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
হাসান দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ২০ জুলাই ঢাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন। এলাকাবাসীর সহায়তায় কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। কিন্তু টাকার অভাবে এখন ওষুধ কিনতে পারছেন না। কাজ না করতে পারায় তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আজ রোববার সকালে বাসরা গ্রামে হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ টিনের ঘরে হাসানের বসবাস। ঘরের বাইরে একটি চেয়ারে বসে আছেন তিনি। সেখানেই বসে সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁর দুই চোখ ভিজে যায়।
হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ২০ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি ঢাকার চিটাগাং রোডে থামিয়ে চালক তৌহিদ মিয়া ও তিনি দুপুরের খাবার খান। বিকেল চারটায় ঢাকার দিকে রওনা দেন। প্রথমে চালক ট্রাকে ওঠেন। পরে তিনি ওঠার সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ছাত্র-জনতার সহায়তায় ট্রাকের চালক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও হাসপাতালে ভর্তি নেয়নি। পরে তাঁর স্বজনেরা অ্যাম্বুলেন্সে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।