হিট স্ট্রোক করে সারাদেশে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ২০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ফোরাম। সংগঠনটির হিসেব মতে, এর মধ্যে শিশু ১ জন, নারী ৫ জন এবং পুরুষ ১৪ জন। বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
সংগঠনটি জানায়, সারা দেশের উপর দিয়ে গত ২ মে থেকে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র এই গরমে কিছু ভুল পদক্ষেপ বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে উল্লেখ করে দুর্যোগ ফোরাম।
তারা আরও বলেছে, এই সময় নিরাপদ পানি পান করা, বাইরের খাবার পরিহার করার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
তারা বলছে, গত ২ মে থেকে সারা দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এই তাপপ্রবাহ জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তীব্র এই গরমে ‘হিট স্ট্রোক’ একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যা উল্লেখ করে দুর্যোগ ফোরাম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাতে বলেছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা গেছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে একজন শিশু, পাঁচজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
তীব্র এই গরমে কিছু ভুল পদক্ষেপ বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে জানিয়ে দুর্যোগ ফোরাম আরও বলেছে, এই সময় নিরাপদ পানি পান করা, বাইরের খাবার পরিহার করার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা আমাদের বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
তাপদাহে হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষিত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা অনেকক্ষণ রোদে কাজ করে তাদের।
তিনি বলেছেন, ‘মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। প্রচণ্ড গরমে মানুষের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে প্রবল। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়।’
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, ‘এটি বিপদজনক। এটি খুবই সিরিয়াস, সাথে সাথে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে।’ তার পরামর্শ, ‘অপ্রয়োজনে কারো বাইরে বের হওয়া উচিত না। শ্রমিক, দোকানদার, রিকশাচালকসহ যারা বাইরে কাজ করেন তাদের অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে।’