ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার কোথায় কোথায় টাকা রেখেছেন এবং তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ১৭ মে (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গতকাল ১৬ মে (সোমবার) সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতকে অবগত করেন এবং রুলটির শুনানি শুরু করার আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, পি কে হালদার দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।