আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা ভোটে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের নামে একটি করে পিস্তল ও রাইফেলের লাইসেন্স নেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। এর মধ্যে রাইফেলের লাইসেন্স নেন ২০১৬ সালে। পিস্তলের লাইসেন্স নেন ২০১৮ সালে। নিজাম হাজারী তাঁর স্ত্রী নূরজাহান বেগমের নামেও ২০২০ সালে একটি রাইফেলের লাইসেন্স করান। যদিও তিনি গৃহিণী।
নিজাম হাজারীর মতোই দুটি করে (পিস্তল ও শটগান) আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন ফেনীর আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের আরও পাঁচজন নেতা। তাঁরা হলেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আলিম, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ ওরফে সাজেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে স্বপন মিয়াজী ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান ওরফে খোকন হাজারী।
সব মিলিয়ে নিজাম হাজারী, তাঁর স্ত্রীসহ ফেনীর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৩০ জন নেতা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স করেন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় অস্ত্রের লাইসেন্স তাঁরা পেয়েছিলেন। এসব অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে গত জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার বিক্ষোভ দমনের কাজে। ফেনীর শহরের পাশে মহিপাল এলাকায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা গুলি ছুড়ছেন, এ রকম একটি ভিডিও ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে সম্প্রতি। ঘটনাটি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার ঠিক এক দিন আগে গত ৪ আগস্টের। সেদিন গুলিতে মহিপালে ৯ জন নিহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন শিক্ষার্থী।